সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, দেশে চলমান সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস-উসকানি বন্ধ এবং ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটভুক্ত বাম সংগঠনগুলো।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের আহ্বানে সাতটি ছাত্র সংগঠনের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গেও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলে সভা থেকে জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন, সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভাজন বন্ধ এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান। একইসঙ্গে আগামীদিনের ছাত্র আন্দোলনের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরচা, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আহমেদ ইসহাক এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (মাহির শাহরিয়ার) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ।
সভায় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা এবং বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।