গণতান্ত্রিক নির্বাচনই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল সৌন্দর্য : আলাল

1 month ago 26

গণতান্ত্রিক নির্বাচনই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল সৌন্দর্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘একাত্তরে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আপনারাই ব্যাংক দখল করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়-ভবন দখল করেছেন, হাট-বাজার দখল করেছেন। বিএনপি তো কিছুই দখল করেনি। তারপরও আপনারা বিএনপির দুর্নাম করে বেড়াচ্ছেন।

আলাল বলেন, জবাবদিহিতা একমাত্র রাজনীতিবিদরাই করে থাকে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে মানুষ তাদের কর্মের জন্য প্রশ্ন করতে পারে। জনগণ আর কোনো পেশার লোকদের কাছে তাদের কাজের জন্য জবাব চাইতে পারে না। একটি গণতান্ত্রিক দেশের মূল সৌন্দর্যই হচ্ছে গণতান্ত্রিক নির্বাচন। যারা এই নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত ঠিক কাজ করছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এখন পর্যন্ত নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পারেন নি। বড় বড় কথা না বলে কাজে মনোযোগ দিন। সিন্ডিকেট ভেঙে দিন। সামনে রমজান। এ রমজানে যাতে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিন। বাণিজ্য উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিন- তিনি যেন মেঘনা গ্রুপ, কাজী ফার্ম, গাজী গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ফ্রেশ গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপ এদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাজারদর ঠিক করে দিতে পারেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, তুরস্কের এ কে পার্টি, ভারতের আমআদমি পার্টি এবং পাকিস্তানের তেহেরিক-ই-ইনসাফের আদলে দল গঠন করতে চান। দেশের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা মানুষ আপনারা। দেশের রাজনীতির স্বার্থে কেন পরদেশের রাজনৈতিক দলের অনুসরণ করতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, মানুষের আশা ছিল- স্বৈরশাসনের পতনের পর দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করবে। অথচ এ সরকার নির্বাচনের দিকে না গিয়ে নানা রকম টালবাহানা করছে। আজ একটি দল আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। অথচ মানুষ জীবনবাজি রেখে গত ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে গণতন্ত্রের জন্য, একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার রক্তের বিনিময়ে আসা সরকার। দাবি ছিল, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। অথচ ভোটের কথা বললেই তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ভ্রু কুঁচকে যায়। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশ্ব ব্যক্তিত্ব। তার কাছ থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চাইতে হবে কেন?

প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এক মাসের চেষ্টার ফসল নয়। এখানে রয়েছে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের বিশাল ত্যাগ ও রক্তক্ষরণ।

সংগঠনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কৃষক দল নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, এসএম মিজানুর রহমান, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, রাজু আহমেদ শাহ, হুমায়ুন কবির বেপারী, মতিউর রহমান ডিজেল, ইব্রাহিম হোসাইন, সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল, রমিজ উদ্দিন রুমী, আবু হায়দার মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, এসএম কমর উদ্দিন, সোহেব কোরাইশী, জীবন চৌধুরী, আবু সাইদ প্রমুখ।

Read Entire Article