‘গত ১৫ বছর মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, গত ১৫ বছর মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। কৃষকরা সারের দাবিতে রাস্তায় নেমে গুলি খেয়েছে বারবার। কৃষকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দাম বাড়িয়ে বাংলাদেশকে কৃষিহীন দেশ হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে এআর খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের একটি ফুলকপি উৎপাদনে ব্যয় হয় ৭-৮ টাকা, কিন্তু সেই ফুলকপি কৃষকরা বিক্রি করেন ২-৩ টাকায়। অথচ ঢাকায় গিয়ে সেই ফুলকপি বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। গত ১৫ বছরে মাঝপথের চাঁদাগুলো আওয়ামী লীগের গুণ্ডাপাণ্ডারা বিভিন্নভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের প্রয়োজনে রাষ্ট্র ভর্তুকি দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়, যাতে কৃষক বেঁচে থাকে। আর সেই ভর্তুকি প্রয়োজন অনুযায়ী বণ্টনের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের, যা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দিতে পারবে।
রহমাতুল্লাহ বলেন, গত ১৫ বছর কেউ ভোট দিতে পারেননি। যারা কৃষক ও জনগণের ভোট পায়নি বা নেয়নি তারা তো কৃষক বা জনগণের প্রয়োজনে কাজ করবে না। আর তাই তারাও কোনো কাজ করেনি। যেহেতু দেশের মানুষের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়নি সে কারণে দেশের মানুষের জন্য তাদের কিছু আসে যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান গত ১৫ বছর ধরে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন করছেন। তিনি একবারও বলেননি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার পরে আপনাদের ধানের শীষে কিংবা তারেক রহমানকে ভোট দিতে হবে। তিনি বলেছেন- আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব, আপনারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারতেন, যদি দেশের গণতন্ত্রের কথা চিন্তা না করে দেশের বাইরে চলে যেতেন। এই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করেছিল তাকে হত্যা করতে, এই আওয়ামী লীগ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। আজ সেই আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এই খুনি হাসিনা এবং তার প্রেতাত্মারা আর যেন কোনো দিন আমাদের এভাবে শোষণ করতে না পারে সেজন্য তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করুন।