গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করলে যে উপকার পারেন
খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হলো, গলা-বুক জ্বালা বেড়ে গেল। পানি খাওয়ার পরেও আরাম পেলেন না?এই ধরনের সমস্যা সাধারণত ‘জিইআরডি’ (গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ) থাকলে হয়। এছাড়া লিভারের কোনো সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওষুধ না খেয়েই যদি গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা কমাতে চান, তাহলে একটি বিশেষ প্রাচীন পানীয় সাহায্য করতে পারে। এটি হলো ঘি মিশিয়ে গরম পানি পান করা, যা শরীরকে আরাম দেয়, হজম ঠিক রাখে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই প্রাচীন পদ্ধতি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্যকর হতে পারে- স্বাস্থ্যের জন্য শক্তিশালী টনিক গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা বেশি হলে খালি পেটে লেবু-মধুর রস অনেকেরই ভালো লাগে না। লেবুর অ্যাসিড অনেক সময় বুকজ্বালা আরও বাড়িয়ে দেয়। তার পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায় এবং অন্ত্র ও লিভারের জন্য উপকারী। ঘির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তবে শুধু ঘি মিশিয়
খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হলো, গলা-বুক জ্বালা বেড়ে গেল। পানি খাওয়ার পরেও আরাম পেলেন না?এই ধরনের সমস্যা সাধারণত ‘জিইআরডি’ (গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ) থাকলে হয়। এছাড়া লিভারের কোনো সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওষুধ না খেয়েই যদি গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা কমাতে চান, তাহলে একটি বিশেষ প্রাচীন পানীয় সাহায্য করতে পারে। এটি হলো ঘি মিশিয়ে গরম পানি পান করা, যা শরীরকে আরাম দেয়, হজম ঠিক রাখে এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই প্রাচীন পদ্ধতি বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্যকর হতে পারে-
স্বাস্থ্যের জন্য শক্তিশালী টনিক
গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা বেশি হলে খালি পেটে লেবু-মধুর রস অনেকেরই ভালো লাগে না। লেবুর অ্যাসিড অনেক সময় বুকজ্বালা আরও বাড়িয়ে দেয়। তার পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায় এবং অন্ত্র ও লিভারের জন্য উপকারী। ঘির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তবে শুধু ঘি মিশিয়ে পানি খাওয়া যথেষ্ট নয়; সঙ্গে যোগ করতে হবে হলুদ ও গোলমরিচ।
এই পানীয় ডিটক্সের মতো কাজ করে, হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। হলুদের কারকিউমিন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের জন্যও উপকারী। ঘিতে থাকা চর্বি কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়, ফলে উপকারিতা আরও বেড়ে যায়।
গোলমরিচও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পিপেরিন উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেট ফাঁপা কমায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গ্যাস্ট্রিক আলসার ও পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি কমায়।
কুসুম পানি, ঘি, হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও অম্বলের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে, আর এটি হয়ে ওঠে শীতকালীন সুস্থতা এবং হজমের জন্য এক চমৎকার প্রাকৃতিক টনিক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ-রসুন খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে
অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায় বাঁধাকপি
এসএকেওয়াই/এমএস
What's Your Reaction?