রোজা প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঈদ করতে অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। আবার কেউ কেউ প্ল্যান করছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার। তবে রোজা রেখে গরমের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার কিছু শারীরিক ঝুঁকি রয়েছে, তাই এসময় কিছু বিষয় মাথায় রেখে বাইরে যাওয়া উচিত।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত
এই গরমে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত সেটা হলো ‘হিটস্ট্রোক’। এটা একধরনের মেডিকেল ইমারজেন্সি। এ রকম হলে মানুষ জ্ঞান হারাতে পারেন। এছাড়া রোজা রাখা অবস্থায় গরমে বাইরে বের হলে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা ও খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমনকি সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীর দুর্বলতা, বমিভাব, মাথাধরা, মাথাব্যথা হতে পারে। এসময় বয়স্ক ও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ভ্রমণের সময় তাদের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরও পড়ুন:
- পেটের সমস্যা দূর করতে পান করুন বিটরুটের পানীয়
- সুস্থ থাকতে ইফতারে রাখুন বাদাম ও বীজ
- ইফতারে রাখুন মজাদার ডাবের স্মুদি
গরমে বেড়াতে যাওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত-
>> যাত্রার আগে যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার তাপমাত্রা সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে আপনি আগেই জানতে পারবেন গরম কেমন থাকবে। সেই অনুযায়ী কখন, কোথায়, কিভাবে ঘুরবেন তার সঠিক প্ল্যান করতে পারবেন।
>> ভ্রমণের সময় সুতি ও পাতলা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ভ্রমণ আরামদায়ক হবে। স্বস্তিতে যাত্রার জন্য বেছে নিন হালকা রঙের পোশাক।
>> রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে পিপাসা বেশি লাগবে। তাই রোজা রাখা অবস্থায় ভ্রমণের জন্য আপনি রাতের সময় বেছে নিন। এতে আপনার ভ্রমণ হবে আরামদায়ক।
>>গরমে ঘামের কারণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ বের হতে পারে। তাই সেফটির জন্য সঙ্গে বেশি পরিমাণ পানি ও খাবার স্যালাইন রাখুন।
>>দিনে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে সানগ্লাস রাখুন।
>> যাত্রার আগে সেহরি কিংবা ইফতারে ভারী খাবার খাবেন না। এসময় হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
>>যাত্রার সময় সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির বোতল রাখুন। পথে যদি ইফতার বা সেহরি খেতে হয় তবে সেই ব্যবস্থা করেই বের হন। বাইরের খাবার খাবেন না।
>> ভ্রমণের সময় সঙ্গে টিস্যু বা রুমাল রাখুন।
>> ভ্রমণের সময় সঙ্গে ফাস্ট এইড বক্স নিতে ভুলবেন না। সব সময় সর্তক থাকা উচিত।
>> রোদের মধ্যে বাইরে বের হলেও চেষ্টা করুন ছায়া আছে, এ রকম জায়গায় থাকার। তবে বেশি দরকার না হলে বাইরে বের না হওয়াই উত্তম।
জেএস/এমএস