গাইবান্ধায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৩০

11 hours ago 4

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন। 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামি জলসায় প্রধান অতিথি করা হয় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ওই সভার তারিখ ঘোষণা করে পোস্টার করা হয়। পোস্টারে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের নামও অতিথি হিসেবে ছিল। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নাম থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের প্রেক্ষিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি ইসলামি জলসার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াত সমর্থক আব্দুল আজিজসহ তার লোকজন। সেখানেও প্রধান অতিথি করা হয় গাইবান্ধা জেলার বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে। এই ইসলামি জলসার জন্য করা পোস্টারে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম না থাকায় গত শুক্রবার বাক-বিতণ্ডা ও উত্তেজনা দেখা দেয় দুদলের লোকজনের মাঝে।

এর এক পর্যায়ে শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর ধাওয়া-পালটাধাওয়া শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ (৫০), বাবু মিয়া (৩৮), আব্দুর রাজ্জাক মিয়া (৪০), সুমন দেব (৫০), সিরাজুল ইসলাম (৪০), পিন্টু মিয়া (৩০), ছাত্রদলের জাকিরুল ইসলাম (৩২), যুবদলের আনিছুর রহমান (৪০) ও স্থানীয় জামায়াতের আলমগীর হোসেন (৪৫), জাহিদুল ইসলাম (৪৮), শফিকুল ইসলাম শফিক (৪০), সাজু মিয়া, রুহুল আমিন, আসাদুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এদের মধ্যে কেউ সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।

এদিকে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে জাকিরুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ জানান, আমরা শান্তিপ্রিয়ভাবে বাজারে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎই তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

তবে সাঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির ইব্রাহিম হোসাইন ও সেক্রেটারি আব্দুল গফুরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনার বিষয়ে সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম বলেন, দুই পক্ষেরই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে টহল দিচ্ছে।

Read Entire Article