গাইবান্ধায় বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। খরচের টাকা ওঠা নিয়ে সংশয় তাদের মধ্যে। এজন্য আলু রোপণে দেখা গেছে ধীরগতি। এ অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আগামীতে আলুর সংকটসহ দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চাষিদের অভিযোগ, গত বছর যে বীজের দাম ৩০-৩২ টাকা ছিল এবার সেটি দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া ১৮০০ টাকার সারের বস্তার দাম এ বছর দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানচুড়া গ্রামের আলুচাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, এবার বেশি করে আলু রোপণের ইচ্ছা থাকলেও মাত্র ৬ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করছি। কারণ, সার ও বীজের দাম খুব বেশি।
একই উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক মনু খন্দকার বলেন, গতবার আড়াই বিঘা আলু আবাদ করেছিলাম, এবার পারবো না। কারণ সার-বীজ, কামলা খরচ সব বেশি। গত বছর বীজ কিনছি ২৮ থেকে ৩৫ টাকা আর এ বছর ৭০ টাকা কেজি। সার বস্তাপ্রতি এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি। এ কারণে বেশি আলু লাগানো যাচ্ছে না।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফরিদপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, গতবার সার ছিল ১৮০০ টাকা। এ বছর সে সার ২২৫০ টাকা প্রতি ব্যাগ। আমরা খেটেখুটে কষ্ট করে আলু চাষ করি আর বড়লোক ব্যবসায়ীরা সেই আলু আমাদের কাছ থেকে অল্প দামে কিনে নিয়ে পরে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে সার ডিলার নুরুল ইসলাম বলেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় সারের সংকট দেখা হয়েছে। এছাড়া গতবারের তুলনায় একটু দামও বেশি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, জেলায় আসন্ন আলু রোপণ মৌসুমে প্রায় ১২হাজার ৩৬ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষক হয়রানি বন্ধ করাসহ সার ও বীজ সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে কঠোর নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচ শামীম/আরএইচ/এমএস