গাজা থেকে মুক্তি পেলেন ৫ থাই নাগরিক
ফিলিস্তিনে গাজায় জিম্মি থাকা পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়ে তারা ইসরায়েলে পৌঁছান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানান তেলআবিবের চিকিৎসকরা। খবর আলজাজিরা ও এপির।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে অন্যান্য ইসরায়েলির সঙ্গে তাদের ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও হামাস তাদের মুক্তি দেয়নি। অবশেষে যুদ্ধবিরতির চুক্তির বন্দি বিনিময়ের সুবাধে তারা মুক্তি পেলেন।
এদিকে ইসরায়েলে পৌঁছানোর পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইসরায়েলি চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে সর্বশেষ বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে গাজা থেকে পাঁচ থাই নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন। পাঁচজনই সুস্থ আছেন।
তেল আবিবের শামির মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. ওসনাত লেভজিওন-কোরাচ বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের আলো না পাওয়া সত্ত্বেও থাই নাগরিকরা সুস্থ আছেন।
তথ্য বলছে, একজন থাই নাগরিক এখনও গাজায় বন্দি রয়ে গেছেন। এ ছাড়া একজন নেপালি এবং তানজানিয়ান নাগরিককেও জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক থাকা থাই জিম্মিদের একজনের মা বৃহস্পতিবার তার ছেলের মুক্তির পর ফেসবুক লাইভস্ট্রিমে তার ছেলেকে দেখতে পান। তখন তিনি তার ছেলেকে প্রথমে তাকে চিনতে পারেননি। কারণ, ওই জিম্মির চেহারা এতটাই বদলে গিয়েছিল যে তাকে চেনা দায়।
মা খাম্মি লামনাও বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলি শহর ইয়েশা থেকে অপহৃত হন ৩২ বছর বয়সী সুরাসাক রুমনাও। মুক্তির তাকে ফ্যাকাশে এবং মুখ ফোলা দেখাচ্ছিল।
তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। এতই খুশি যে আমি কিছুই খেতে পারিনি। তার বাবা আমার জন্য কিছু খাবার এনেছিলেন কিন্তু আমি কিছু খেতে চাইনি। ছেলেকে দেখেই যেন ক্ষুধা মিটে গেছে। খাম্মি তার ছেলের মুক্তির পর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে একটি ভিডিও কলে এসব বলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাঁচজন থাই জিম্মি যখন একটি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে নেমে তেল আবিবের একটি হাসপাতালে প্রবেশ করেন, তখন ইসরায়েলি ডাক্তার, নার্স এবং ইসরায়েল এবং থাইল্যান্ডের কয়েক ডজন প্রতিনিধি পতাকা উড়ান। তারা গান গেয়ে উল্লাস করেছিলেন। হাসপাতালটিতে তারা কয়েকদিন চিকিৎসা নিবেন। সেখানে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার তিনজন ইসরায়েলিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েল ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।