গাজা সিটির নতুন এলাকায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলিরা

2 hours ago 3
গাজা সিটির আরও ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে উত্তর প্রান্তের ইবাদ-আলরহমান এলাকায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকে তারা গোলা ছোড়ে। এতে অনেকে আহত হন এবং অনেক পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে হয়। এর মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে তারা বলেছে, শহর দখলের প্রস্তুতি চলছে, তাই সবাইকে সরে যেতেই হবে। ৬০ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা সাদ আবেদ বলেন, হঠাৎ খবর এলো এবাদ-আলরহমানে ট্যাংক ঢুকেছে। বিস্ফোরণের শব্দ বাড়তে থাকে, মানুষ পালিয়ে আমাদের এলাকায় চলে আসে। যুদ্ধবিরতি না হলে ট্যাংক আমাদের বাড়ির সামনে চলে আসবে। ইসরায়েলের দাবি, গাজা সিটিই হলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের শেষ ঘাঁটি। তাই নতুন অভিযান শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রায় ২২ লাখ মানুষের অর্ধেক এখন এই শহরে বসবাস করছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের সবাইকেই সরিয়ে নিতে হবে। তবে গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা সরে যাবেন না। তাদের মতে, দক্ষিণে পালানো মানেই মৃত্যুদণ্ড। বুধবার (২৮ আগস্ট) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি মুখপাত্র আভিচাই আদ্রেয়ি এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা সিটি খালি করা অনিবার্য। দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, বাস্তুচ্যুতদের জন্য প্রায় ১৫ লাখ নতুন তাঁবু প্রয়োজন হবে। এদিকে, হোয়াইট হাউসে বুধবার গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এ বছরের মধ্যেই যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা। আলাদাভাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সারের সঙ্গে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ট্যাংক পরে জাবালিয়া থেকে সরে গেলেও পূর্ব গাজার শেজাইয়া, জেইতুন ও সাবরা এলাকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ৪ বছরের এক শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, তারা সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করছে এবং হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করছে। ২২ আগস্ট পশ্চিম গাজার নিরাপত্তা গোয়েন্দা প্রধান মাহমুদ আল-আসওয়াদকে হত্যার কথাও তারা জানিয়েছে, যদিও হামাস এ দাবি নিশ্চিত করেনি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হচ্ছে। মঙ্গলবার দেশজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে যুদ্ধ বন্ধ ও হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবি জানায়। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সর্বশেষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েল এখনও সাড়া দেয়নি, যদিও গত সপ্তাহে হামাস সম্মতি জানিয়েছিল। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আল জাজিরা  
Read Entire Article