গাজাবাসীকে কোরবানিও করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

3 months ago 46

সামর্থ্যবানদের জন্য ঈদুল আজহার প্রধানতম কাজ পশু কোরবানি। কিন্তু ইসরায়েলের বাধায় এবার সেটিও ঠিকভাবে করতে পারছেন না অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা। গাজার সব কয়টি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে দখলদার বাহিনী। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

শনিবার (১৫ জুন) গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, কোরবানির পশু প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঈদুল আজহা উদযাপন এবং ইসলামী ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ হিসেবে কোরবানি করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার কয়েক হাজার পরিবার।

আরও পড়ুন>>

এক বিবৃতিতে গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, দখলদার বাহিনী একটি নতুন অপরাধ করেছে। রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখল এবং বন্ধ করাসহ গাজা উপত্যকার সবগুলো ক্রসিং বন্ধ করে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিয়েছে তারা।

এটিকে ‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি পুরোপুরি অবজ্ঞা’ বলে উল্লেখ করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।

গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।

টানা আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আক্রমণে গাজার লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে।

ইসরায়েলের হামলায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে বহু গবাদি পশু। অনাহারেও মারা গেছে অনেক। এর ফলে এ বছর সেখানে কোরবানির পশুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় বাইরে থেকে পশু প্রবেশে বাধা দেওয়া গাজাবাসীর জন্য নতুন সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘ইসলাম এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই অপরাধ’ অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েল এবং মার্কিন প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে গাজার মিডিয়া অফিস।

তারা জোর দিয়ে বলেছে, নৈতিক ও আইনগত দায়িত্বের স্বার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে এবং মুসলিমদের অধিকার ও মানবাধিকারের এই নির্মম লঙ্ঘন বন্ধ করতে গুরুত্ব সহকারে হস্তক্ষেপ করতে হবে।

কেএএ/

Read Entire Article