গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও কমপক্ষে ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত

2 hours ago 5

গাজায় কাজ ‘শেষ করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় আরও অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন গাজা সিটির বাসিন্দা। ইসরায়েলি বাহিনী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া স্থল অভিযানের পর শহরটিতে হামলা আরও বাড়িয়েছে।

শুক্রবার গাজার আল-ওয়েহদা স্ট্রিট, শাতি শরণার্থী ক্যাম্প, নাসর এলাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলের রিমাল এলাকার আবাসিক ভবনগুলোতে বিমান হামলা চালানো হয়। রিমাল এলাকা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খালিলি জানিয়েছেন, হামলার আগে কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন এবং চিকিৎসাকর্মীরা নিহতদের মরদেহ সরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এই আবাসিক এলাকা এখনো জনাকীর্ণ। হামলা বাড়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় প্রতি আট-নয় মিনিট পরপর একটি করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যার বিধ্বংসী প্রভাব বেসামরিক জনগণের ওপর পড়ছে। এছাড়া বিতর্কিত ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জিএইচএফ-এর ত্রাণ সংগ্রহস্থল থেকে সাহায্য নিতে গিয়ে শুক্রবার আরও ১৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি ভাষণ শুরুর আগেই একাধিক দেশের প্রতিনিধি সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। নেতানিয়াহু দাবি করেন, তার ভাষণ গাজার কিছু এলাকায় লাউডস্পিকারে সম্প্রচার করা হচ্ছে এবং বাসিন্দাদের ফোনে বার্তাও পাঠানো হয়েছে।

তবে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে থাকা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রান্ডা হানুন এসব দাবি অস্বীকার করে বলেন, এটা মিথ্যা। আমরা কোনো বার্তা পাইনি, কোনো লাউডস্পিকারের শব্দও শুনিনি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজা যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির কাছাকাছি আছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি এবং সময়সীমাও জানাননি। ট্রাম্প সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।

টিটিএন

Read Entire Article