গাজায় চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ১৯ হাজার শিশুসহ মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস।
প্রায় দুই বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধকে গণহত্যামূলক বলে অভিহিত করা হচ্ছে এবং এরই মধ্যেই এই ভয়াবহ সংখ্যাটি সামনে এসেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মঙ্গলবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখন আর শিশুদের জন্য কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন>
- গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস, চালিয়ে যেতে চায় ইসরায়েল
- ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত
সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে এখন লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তারা আরও জানায়, ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের পতাকার নিচে নিরাপত্তা খুঁজলেও সেসব আশ্রয়কেন্দ্রও পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে, যেখানে অনেক শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। সংস্থাটি স্পষ্টভাবে জানায়, গাজায় কোনো স্থানই শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এর বরাত দিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানায়, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
এদিকে গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতে নতুন করে আলোচনায় বসতে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এদিকে, হামাস দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানালেও, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।
হামাস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ও চ্যানেল ১২ও নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েল হামাসের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম