গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন, পশ্চিম তীরে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলের গণগ্রেফতার অভিযানও। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আসলেই কি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে?
বুধবার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা থামেনি। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আল জাজিরার মাঠ-প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ছিটেফোঁটা হামলায় নতুন করে আরও প্রাণহানি ঘটেছে।
আরও পড়ুন>>
স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের, ঝুঁকিতে যুদ্ধবিরতি
হামাস অস্ত্র জমা না দিলে জোর করে নিরস্ত্র করবো: ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার আল-আহলি হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গাজা সিটির শুজায়েয়া এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগের দিনও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২৫ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। আর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৬৭ হাজার ৯৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬৯ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
পশ্চিম তীরে গণগ্রেফতার
কথিত যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে গণগ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়।
জেরুজালেমের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আল-ইসাওয়িয়া শহরে অভিযানে এক ফিলিস্তিনি নারী ও তার শিশুকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েলি সেনারা। স্থানীয় গভর্নর কার্যালয় জানায়, সৈন্যরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি করে এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
জেনিনের কাছে সেলেম সামরিক ক্যাম্পে সাক্ষাৎ দিতে যাওয়ার পর টুবাস শহরের এক তরুণকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দি অধিকার সংগঠন ‘প্রিজনারস ক্লাব’।
এই নতুন সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনায় যুদ্ধবিরতি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেএএ/