গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছেন।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী স্থাপনা’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির পর এটি সবচেয়ে বড় হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই হামলা চালানো হলো।
গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে, যার মধ্যে দেইর আল-বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফা রয়েছে। বাড়ি ও ভবন ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ হামলার নির্দেশ দেন। ইসরায়েল বলছে, হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে, তাই তারা কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হামলার আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে, যাতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়েছে, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্য, ওষুধ, পানি ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট চলছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা