গাজায় যুদ্ধবিরতির পুরো কৃতিত্ব কি ট্রাম্পের
গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা ভয়াবহ সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রধান ভূমিকা পালনকারী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এই চুক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাবকেই এর মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসন বিদায়ী অবস্থায় থাকলেও নির্বাচন ট্রাম্পের জয়লাভের পরই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে এগিয়েছে। এটি স্পষ্ট, ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে এই চুক্তি বাস্তবায়ন ও তার দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল নিয়ে এখনও কিছু সংশয় রয়েছে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক চাপের ফলে ইসরায়েলও হামাসের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু চুক্তির বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
এদিকে বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পের ভূমিকা প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে বাইডেন দাবি করেন, তার প্রস্তাবিত কাঠামোর ভিত্তিতেই এই চুক্তি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ৭০৭ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ জনের জীবনভর অসুস্থতা থাকবে। গুরুতর আহতদের পুনর্বাসন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না, বিশেষ করে যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গাজায় ৮৫ হাজার বিস্ফোরক ফেলা হয়েছে। সেখানকার ধ্বংসস্তূপ সরাতে এক দশকের বেশি সময় লাগতে পারে, যা ৪ কোটি ২০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।