গাজায় শীতকালীন বৃষ্টিতে আরও রোগব্যাধি-মৃত্যুর শঙ্কা
গাজায় শীতকালীন বৃষ্টির কারণে রোগব্যাধি বাড়ছে এবং আরও লোকজনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতি আরও তাঁবু এবং জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো। তারা বলছে, আড়াই লাখেরও বেশি পরিবারের আশ্রয়স্থলের পাশাপাশি জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। খবর বিবিসির। নরওয়েজ রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) মহাসচিব জ্যান এগেল্যান্ড বলেন, এই শীতে আমরা প্রাণ হারাতে যাচ্ছি। আমাদের শিশুরা এবং পরিবারের সদস্যরা মারা যাবে। তিনি বলেন, এটা আসলে খুবই হতাশাজনক যে, ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের পর থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো হারিয়ে ফেলেছি। ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল যে, মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনিরা অসহনীয় কষ্ট সহ্য করবে না। প্রায় দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই এখন বাস্তুচ্যুত। গাজার বেশিরভাগ মানুষ এখন তাঁবুতে বসবাস করে, যাদের অনেকেই অস্থায়ী। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন ঝড়ের কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নর্দমার পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গাজায় শীতকালীন বৃষ্টির কারণে রোগব্যাধি বাড়ছে এবং আরও লোকজনের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতি আরও তাঁবু এবং জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো। তারা বলছে, আড়াই লাখেরও বেশি পরিবারের আশ্রয়স্থলের পাশাপাশি জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। খবর বিবিসির।
নরওয়েজ রিফিউজি কাউন্সিলের (এনআরসি) মহাসচিব জ্যান এগেল্যান্ড বলেন, এই শীতে আমরা প্রাণ হারাতে যাচ্ছি। আমাদের শিশুরা এবং পরিবারের সদস্যরা মারা যাবে। তিনি বলেন, এটা আসলে খুবই হতাশাজনক যে, ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের পর থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো হারিয়ে ফেলেছি। ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল যে, মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং ফিলিস্তিনিরা অসহনীয় কষ্ট সহ্য করবে না।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ সংঘাতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনিই এখন বাস্তুচ্যুত। গাজার বেশিরভাগ মানুষ এখন তাঁবুতে বসবাস করে, যাদের অনেকেই অস্থায়ী।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন ঝড়ের কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নর্দমার পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিবিসির এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে গাজা সিটিতে নিজের অস্থায়ী বাড়ির ভেতরের গোড়ালি পর্যন্ত গভীর জলাশয় দেখাতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফাতিমা হামদোনা নামের এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, আমার বাচ্চারা এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং আমাদের তাঁবুর কী হয়েছে তা দেখুন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে খাবার নেই, সব আটা ভিজে গেছে। আমরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানুষ। আমরা কোথায় যাব? এখন আমাদের যাওয়ার জন্য কোনো আশ্রয়ও নেই।
দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে নিহাদ শাবাত নামের এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমাদের কাপড়, গদি এবং কম্বল ডুবে গেছে। সোমবার তিনি তার জিনিসপত্র শুকানোর চেষ্টা করছিলেন।
তার পরিবার চাদর এবং কম্বল দিয়ে তৈরি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুমাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা আবারও বন্যার আশঙ্কা করছি। আমাদের তাঁবু কেনার সামর্থ্য নেই। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে ৮০ শতাংশের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গাজা সিটির ৯২ শতাংশ ভবনই ধ্বংস হয়ে গেছে।
টিটিএন
What's Your Reaction?