গাজীপুরে কারখানায় আগুন: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

4 hours ago 6

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরি কারখানায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেন, আগুনে নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মজলুম মিয়া, বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। বাবার নাম বাবলু মিয়া।

এদিকে রোববার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন দুইজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, রোববার রাত পর্যন্ত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ দুটি আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই মরদেহ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হতে পারে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম এন্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসত বাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপদ নিয়ে আসতে থাকেন। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন ম্যাসেজ দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তার মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সব মিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে প্রচুর বিস্ফোরণ হচ্ছিল।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article