গায়ের জোরে দেশ শাসনের দিন শেষ: মিয়া গোলাম পরওয়ার

4 hours ago 2

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘গায়ের জোরে দেশ শাসনের দিন শেষ হয়ে গেছে। বিরোধীদলকে দমন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন যারা দেখেন সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। সাহস থাকলে গণভোট দেন। জনগণের রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা রাখি। গায়ের জোরে কিছু ঠেলে দিয়ে চলে যাবেন তা হবে না।’

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন না করে বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয় তাহলে আর একটি হাসিনার জন্ম হবে, আর একটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বাংলার মানুষ তা হতে দেবে না।’

তিনি বলেন, ‘যখনই পিআর পদ্ধতির কথা বলি তখনই আপনি সংবিধান দেখান। সংবিধান মানলে তো আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন সেটা অবৈধ। সংবিধান মানলে তো শেখ হাসিনার সংবিধান অনুযায়ী ২৪ এরপর পাঁচ বছর পর ২৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তাহলে ২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা কেন বলছেন?’

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের দাবি পিআর মানতে হবে। সার্ভেতে ৭০ ভাগ মানুষ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে। একটি দলের কেউ কেউ বলছেন, পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারে না। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আসে নাকি বিপক্ষে আসে যাচাই করুন।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ যদি পিআর মানে তাহলে আপনাদেরও মানতে হবে। আর জনগণের রায় যদি পিআরের বিপক্ষে যায় তাহলে আমরা জামায়াতে ইসলামী মেনে নেবো। কিন্তু তারা তো গণভোটকে ভয় পাচ্ছে। পিআরের মধ্য দিয়ে সবার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যদি পেশিশক্তি ও কালো টাকামুক্ত কোয়ালিটি পূর্ণ পার্লামেন্ট হয়, সরকার গঠন হয়, তাহলে কোনো দলের পক্ষে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাই তারা পিআর ঠেকাতে চায়।’

জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন, সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশব্যাপী তিন দিনের কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামী।

জিতু কবীর/আরএইচ/এএসএম

Read Entire Article