গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ মার্চ, নেতৃত্বে ইবি ও পবিপ্রবি

13 hours ago 5
বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছ) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের সময়সূচি ও নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মো. নসরুল্লাহ এবং সহসভাপতির দায়িত্বে থাকছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবনের কনফারেন্স রুমে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া বৈঠকে ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ২৭ মার্চ: ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান অনুষদ), ৩ এপ্রিল: ‘বি’ ইউনিট (মানবিক অনুষদ) ও ১০ এপ্রিল: ‘এ’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সমন্বয়ের এক ইতিবাচক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আরও বিশ্ববিদ্যালয় এতে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একক পরীক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুক। পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মতো এবারও গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকে আগের শিক্ষাবর্ষের সমাপ্তি ঘোষণা, আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা এবং নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনসহ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আবেদনপত্র গ্রহণের সময়সীমা ও অন্যান্য সিদ্ধান্ত পরবর্তী বৈঠকে নির্ধারিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গুচ্ছ পদ্ধতি চালুর পর থেকে ভর্তি পরীক্ষায় ব্যয়সাশ্রয়, স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এবারের নেতৃত্বে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন—যৌথ উদ্যোগে ভর্তি প্রক্রিয়া আরও প্রযুক্তিনির্ভর, গতিশীল ও শিক্ষার্থীবান্ধব হবে।
Read Entire Article