গৃহঋণের সীমা বাড়ানোর দাবি এবিবির

2 hours ago 6

গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ কোটি টাকা এবং ঋণ বিতরণের হার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।

একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ঋণ শ্রেণীকরণে ছাড়, দীর্ঘমেয়াদি খেলাপি ঋণ অবলোপন, ব্যাংক সেবার মাশুল নির্ধারণে স্বাধীনতা দেওয়াসহ মোট আট দফা প্রস্তাব তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করেছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এবিবির প্রতিনিধিরা এসব দাবি তুলে ধরেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবিবি কয়েক মাস ধরে লিখিতভাবে এসব দাবি জানিয়ে আসছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এই বৈঠকের আয়োজন করে। আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হলেও, গ্রাহকের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কয়েকটি প্রস্তাব এড়িয়ে যায়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগির কিছু বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এবিবির আট দফা দাবি

১. সব ধরনের লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা, যাতে জমা প্রক্রিয়ায় ২–৭ দিনের বিলম্ব না হয়।

২. ব্যাংকগুলোর টিয়ার-২ বন্ডের মূলধন সংগ্রহ কাঠামো সহজ করা।

৩. সিএমএসএমই খাতে ঋণ শ্রেণীকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি নীতিমালায় শিথিলতা আনা।

৪. কোনো ঋণ এক বছর ধরে খেলাপি থাকলে তা অবলোপনের সুযোগ দেওয়া।

৫. চলমান ঋণ নবায়নে সীমার অতিরিক্ত অংশ সমন্বয়ের জন্য ৯০ দিনের অতিরিক্ত সময় এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত নবায়নের অনুমতি।

৬. ব্যাংক সেবার নির্ধারিত মাশুল বাতিল করে প্রতিটি ব্যাংককে নিজস্বভাবে তা নির্ধারণের স্বাধীনতা দেওয়া।

৭. ব্যাংক হিসাব খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ে পূর্ণ স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের সুযোগ রাখা।

৮. গৃহঋণের সীমা ৫ কোটি টাকা ও ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণের সুযোগ; হাইব্রিড গাড়ি ক্রয়ে ঋণসীমা তুলে দিয়ে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার অনুমোদন; ব্যক্তিগত ঋণের সীমা ৪০ লাখ টাকা এবং জামানতবিহীন ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ।

বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিনসহ ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী, প্রাইম ব্যাংকের এমডি হাসান ও. রশীদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, এমটিবি’র এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।

ইএআর/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article