কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ জুহায়ের আয়মান নামের পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টার মাথায় কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া সৈকতে মরদেহটি পাওয়া যায়।
- আরও পড়ুন-
- ৫ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- কুকুরকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, সাবেক ইউপি সদস্য নিহত
- আসন পুনর্বহালের দাবিতে বাগেরহাটে হরতাল চলছে
মরদেহটি উদ্ধারের পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়রকর্মী মোহাম্মদ ওসমান।
নিহত জুহায়ের আয়মান (১৭) বগুড়া সদরের বগুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাটনাপাড়ার বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম ও মনিরা সুলতানা দম্পতির ছেলে। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা বলে জানা গেছে।
সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র কর্মী ওসমান জানান, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে লাবণী পয়েন্ট সৈকতে গোসলে নেমে তিন পর্যটক স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন। অন্য পর্যটকদের চিৎকারে রেসকিউ বোটের সহযোগিতায় সি সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা দুজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। কিন্তু আয়মান নিখোঁজ হন। এরপর দমকল বাহিনী, বিচকর্মী, সি সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা রাত ১২টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তাকে পেতে ব্যর্থ হন।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে সমিতিপাড়া এলাকা থেকে খবর আসে সেখানকার সৈকত পয়েন্টে একটি মরদেহ ভেসে এসেছে। সি সেইফ লাইফগার্ডের স্থানীয় সদস্য এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি তীরে তুলে আনে। নিখোঁজের স্বজন ও সংশ্লিষ্টরা গিয়ে মরদেহটি আয়মানের বলে শনাক্ত করেন।
কক্সবাজার জেলা প্রসাশনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান জানান, মরদেহটি শনাক্তের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে আনা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গোসল দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছে নিহতের পরিবার। এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে স্বপরিবারে বগুড়া থেকে তারা ঘুরতে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, আমাদের কামনা সৈকতের সান্নিধ্য নিতে আসা পর্যটকরা বিনোদিত হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরুক। পর্যটকদের উচিত লালপতাকা উত্তোলিত স্থানে গোসলে না নেমে লাইফগার্ড ও বিচকর্মীদের দেখানো স্থানে নামা। আনন্দের জন্য এসে স্বজনদের নিথর দেহ নিয়ে এভাবে বিষাদে ফিরে যাওয়া আমাদের কখনো কাম্য নয়।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জেআইএম