গ্রেপ্তার ডাকসু প্রার্থী জালালকে নিয়ে রাশেদের পোস্ট

2 weeks ago 11
রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী জালাল আহমদকে। এবার তাকে নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রাশেদ।    তিনি লেখেন, ‘১৮ সালে আমরা গ্রেপ্তার হলে জালাল নতুনভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখে, আমাদের মুক্তির জন্য আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার, ড. কামাল হোসেন স্যার ও ব্যারিস্টার মঈনূল হোসেনের কাছে যায়। তাদের সহযোগিতায় আমরা জামিন পেয়ে পুনরায় রাজপথে নেমে আন্দোলন সফল করি।’  রাশেদ লেখেন, ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আখতার হোসেন গ্রেপ্তার হলে গণতন্ত্রকামী জালাল আবারও সেই দুঃসময়ের সারথি হিসেবে পাশে থাকে। যেটা আখতার হোসেন পোস্ট করে জানিয়েছেন। নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদরা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় জালাল পরিবারের পাশে থাকাসহ নিউজ বা ইনফরমেশন পাসসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছে বলে পোস্ট করেছে আখতার হোসেনের সহধর্মিণী সানজিদা আখতার।  তিনি লেখেন, মহসীন হলের ঘটনা কি দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত? তদন্ত ছাড়া জালালের ভিপি প্রার্থিতা করার সুযোগ বাতিল করা যাবে না। একই সঙ্গে গতকাল (২৬ আগস্ট) কেন পুলিশের উপস্থিতিতে তার ওপর মব সৃষ্টি করা হলো? সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে পারত। কিন্তু যেভাবে তার ওপর মব সৃষ্টি করেছে, তা নিন্দনীয়।  রাশেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে লেখেন, জালালের সংগ্রাম সম্পর্কে জানুন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করুন। দোষী হলে শাস্তি দিন, কিন্তু ছাত্রত্ব বাতিল করবেন না। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, সে গুমের শিকার হয়ে জিহ্বায় ইলেকট্রনিক শকের কারণে মেন্টালি ট্রমাটাইজড। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা রবিউলের সঙ্গে তর্কে জড়ান জালাল। একপর্যায়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে রবিউল গুরুতর আহত হন।  চিৎকার শুনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। পরে জালাল আহমদের বিরুদ্ধে রুমমেটকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
Read Entire Article