গ্রেপ্তার শত শত কোরিয়ানদের ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তিন শতাধিক দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিককে ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে অভিবাসন অভিযান সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘আমি বলব যে তারা অবৈধ এলিয়েন (অভিবাসী) ছিল এবং আইসিই কেবল তার কাজ করছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা তাৎক্ষণিক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে-মিয়ং যুক্তরাষ্ট্রে হুন্ডাই মোটর-এলজি গাড়ির ব্যাটারি কারখানায় অভিবাসন অভিযানে শত শত নাগরিককে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আমেরিকার জর্জিয়া রাজ্যের সাভানার কাছে অবস্থিত প্ল্যান্টে প্রায় ৪৭৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ছিল মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের শাখা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্তৃক পরিচালিত বৃহত্তম একক-সাইট এনফোর্সমেন্ট অভিযান।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন শনিবার বলেছেন, রাষ্ট্রপতি লি কর্মকর্তাদের দ্রুত বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের অধিকার , স্বার্থ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রম লঙ্ঘন হওয়া উচিত নয়।
চো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ায় নির্মাণাধীন এই স্থাপনায় ৩০০ জনেরও বেশি কোরীয় নাগরিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সাড়া দেওয়ার জন্য সরকার একটি দল গঠন করেছে। প্রয়োজনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে আমি ওয়াশিংটন ডিসিতে যাব।
শনিবার এই ঘটনা মোকাবেলায় এক জরুরি বৈঠকের আগে ইয়োনহাপ কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চোর উদ্ধৃত করা হয়েছে। তাতে তিনি বলেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং আমাদের নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমরা গভীর দায়িত্ববোধ করছি। আমরা বিলম্ব না করে ঘটনাস্থলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করব এবং প্রয়োজনে আমি ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করার জন্য ওয়াশিংটনে যাব।
যে কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে সেটি বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ব্যাটারি সরবরাহের উদ্দেশ্যে তৈরি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবে সেখানে অভিযান করা হয়।