খাবারের সঙ্গে চেতনানশক ওষুধ মিশিয়ে একই পরিবারের ছয়জনকে অচেতন করে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস ও টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চরপাগলা গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছেন।
তারা হলেন- বকুল বেগম, তার ছেলে মাকসুদ আলম, মেয়ে জোসনা আক্তার, নাতি আফরাজ, নাতনি জান্নাত। আরেক শিশুর নাম জানা যায়নি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুক্তভোগীদের স্বজন মো. আল-আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বকুল বেগমের ভাগিনা আল-আমিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে বকুল বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যান। তার ছেলে মাকসুদও দুপুরে বাজারে ছিলেন। তারা বাড়ি ফিরে দুপুর ৩টার দিকে সবাই একসঙ্গে খাবার খান।
এরপর থেকেই তাদের সাড়া শব্দ ছিল না। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারা বাড়ি ঢুকে বকুলসহ সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আল-আমিন আরও জানান, এসময় ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মাকসুদ বিদেশ যাবেন। এজন্য ঘরে টাকা রাখা ছিল ওই টাকাও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে যায়।
আল-আমিন বলেন, ঘটনার দিন এতে এক প্রতিবেশী নারীকে দিয়ে রান্না করানো হয়। ওই খাবার খেয়েই সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। এখনো মামি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাই মূল ঘটনা জানা সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মীর মো. আমিনুল ইসলামকে মোবাইলে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
কাজল কায়েস/জেডএইচ/জিকেএস