ঘুমানোর আদর্শ ভঙ্গি কোনটি?

3 hours ago 2

শরীর সুস্থ রাখতে রাতে টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবে ঘুমের অভ্যাসের ভঙ্গিই প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। হজমক্রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান সবকিছুই নির্ভর করে ঘুমানোর ভঙ্গির ওপর।

কিন্তু সঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানোর বিষয়টি অনেকেই জানেন না। এতে করে নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। সঠিক ঘুমের ভঙ্গি জানাটা শুধু আরাম নয়, দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সঠিক ভঙ্গির সঙ্গে সুস্থতার সম্পর্ক রয়েছে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘুমাবেন-

কোন ভঙ্গিতে ঘুমানো উচিত নয়?

১) অনেকে পাশ ফিরে হাঁটু ও হাত বুকের কাছে জড়ো করে ঘুমিয়ে থাকেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমন করে ঘুমালে বুকের উপর চাপ পড়ে এবং ঘুমের সময় শরীরে ঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। দিনের পর দিন এমন ভাবে ঘুমালে পিঠে, ঘাড়ে ব্যথাসহ শ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। তাই এভাবে ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।

২) অনেকের বুকের উপর ভর দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস। এই ভঙ্গিতে ঘুমালে শরীরের পুরো ওজন পেটের উপর পড়ে। দীর্ঘদিন এমন ভঙ্গিতে ঘুমালে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের পেশিতেও টান পড়তে পারে। এছাড়া বিশ্রাম নিয়েও শরীরে আরাম পাওয়া যাবে না।

৩) চিৎ হয়ে শোয়ার অভ্যাসও ভালো নয়। এতে নাক ডাকা বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা বাড়ে। তাই এই ভঙ্গিতে ঘুমানো এড়িয়ে চলা উচিত।

যেভাবে ঘুমালে রোগের ঝুঁকি কমবে

সুস্থ মানুষ ডান ও বাঁ দুই দিকেই পাশ ফিরে ঘুমাতে পারে। পাশ ফিরে ঘুমানো বেশিরভাগ মানুষের জন্য সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি। এই ভঙ্গিতে ঘুমালে শ্বাসকষ্ট কমে যায়। মেরুদণ্ড সঠিকভাবে সাপোর্ট পায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা ঘুমের সময় শ্বাসরোধের ঝুঁকিও কমে। তবে দীর্ঘদিন একই পাশে ঘুমালে কাঁধ বা কোমরে চাপ পড়তে পারে। এতে অস্বস্তি তৈরি হয় এবং মুখে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। তাই পাশ ফিরে ঘুমানো ভালো হলেও মাঝেমধ্যে দিক বদল করাও জরুরি।

বাঁ দিকে ফিরে ঘুমানোর উপকারিতা

বাঁ দিকে ফিরে ঘুমালে গ্যাসের সমস্যা এড়ানো যায়। মাঝরাত থেকে যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকে, তারা এভাবে ঘুমালে আরাম পাবেন। এছাড়া ঘাড়ে ব্যথা, হাতে ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে আদর্শ ভঙ্গি হলো বাঁ পাশে ঘুমানো। শুধু তাই নয়, স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকিও কমানো যায়।

সূত্র: হেলথলাইন, মায়ো ক্লিনিক

আরও পড়ুন

কম ঘুমালে নারীদের মেজাজ এতো খিটখিটে হয়ে যায় কেন
রাতে এক কাপ চা, দূর হবে অনিদ্রা

এসএকেওয়াই/কেএসকে/এমএস

Read Entire Article