চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধার করেছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের কাছে জিম্মি থাকা শত কোটি টাকার জায়গাও ছিল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা। এ সময় ম্যাক্সের কাছে জিম্মি থাকা জায়গা ছাড়াও উদ্ধার করা হয় আরও ১২টি দোকান আর ৫টি বসতঘর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেসব স্থাপনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, অভিযানে বেশকিছু দোকান ও বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রেলের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এসব স্থাপনা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স যখন রেলের সঙ্গে কাজ করেছিল তখন তারা কিছু বাসা বানিয়েছিল। সেগুলো কাজের প্রয়োজনে করায় তাতে বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর সেগুলো সরিয়ে নেয়নি। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে যায় এসব জায়গা। আজকের অভিযানে সেসব জায়গাও উদ্ধার করা হয়েছে।
ম্যাক্সের দখলের বাইরেও অভিযানে আরও জায়গা উদ্ধার করা হয়। সেসব বিষয়ে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার হয়েছে যার মূল্য প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা। রেলের জায়গা দখল করে দোকান করা হয়েছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা রেলের ভূমি ব্যবহারের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে নতুন স্টেশনের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর বা দেওয়াল নির্মাণের জন্য এই স্থাপনাগুলো বাধা হয়েছিল।
এদিকে অভিযানের সময় দখলকারীরা অভিযোগ করেন, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ভাড়ায় রেলের ভূমিতে দোকান বসানো হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেলওয়ে পুলিশ ও আরএনবি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক এসএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার জানা নেই কে বা কারা ভাড়া দিয়েছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ ভাড়া দেয়নি এটা আমি নিশ্চিত করছি।
চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) পুলিশ সুপার শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, রেলের জায়গা আমরা কীভাবে ভাড়া দেব? আমরা এসব কিছুই জানি না। আমাদের ভাড়া দেওয়া বা ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। এটা রেলওয়ে পুলিশের কাজ না।