চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার নাম, ঠিকানা ও লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান নেতারা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে আইনবহির্ভূতভাবে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তি বেআইনি, বিভ্রান্তিকর এবং প্রতিষ্ঠানের সুনামের পরিপন্থী।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এ প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোজাম্মেল হক জানান, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা ১১৪ বছরের ঐতিহ্যবাহী ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান (নিবন্ধন নম্বর ঢ-০৮৯৬২/২০১১), যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অভিযোগ করেন, এই চক্র জোরপূর্বক কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট, ভবন দখলের চেষ্টা এবং সমিতির সম্পদ আত্মসাৎসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আদালতে মামলা হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে ওই চক্র বর্তমানে সমিতির কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা সমিতির প্যাড ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, বিদেশে ভুয়া কমিটি গঠন করে অর্থ আদায় এবং ভবনের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকেও জোরপূর্বক ভাড়া আদায় করছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগ হিসেবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করেন, চক্রটি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঢাকা ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় সমিতির নামে অবৈধভাবে একটি ব্যাংক হিসাব খুলেছে এবং সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
মোজাম্মেল হক জানান, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা দৈনিকে নিয়মিতভাবে নির্বাচনী তফসিলও প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএআর/একিউএফ

19 hours ago
12









English (US) ·