চট্টগ্রামকে সম্প্রীতির শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : সিটি মেয়র

2 hours ago 6
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দুর্গাপূজা চলাকালীন প্রত্যেক মণ্ডপ নিরাপদ রাখতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চসিক কাজ করছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে আমরা যেন সম্প্রীতির বন্ধনে একটি সুন্দর শহর গড়ে তুলতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পূজা মণ্ডপসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন তিনি। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ জে এম সেন হলে এ বছর ৫ লক্ষ টাকা এবং নগরীর আরও ২৬৯টি পূজা মণ্ডপে প্রতিটি মণ্ডপে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন, গ্রিন, হেলদি ও সেফ সিটি গড়তে নাগরিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। পূজা শেষে প্রতিদিনের ময়লা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে, যাতে নালা-খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। মেয়রের ভাষায়, সেফ সিটির অর্থ শুধু নিরাপত্তা নয়; সব ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব আশরাফুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলার ইসমাঈল বালি, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আশুতোষ দে, সাধারণ সম্পাদক সৌমনাথ দাশ রাজু, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ, মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দু পাল অরুনসহ বিভিন্ন পূজা উদযাপন পরিষদ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে নগরীর লালদিঘী এলাকার পাবলিক লাইব্রেরি সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল নেতৃবৃন্দ, আয়োজক, সামাজিক সংগঠক ও সাংবাদিকদের ভিড়। তবে এ অনুদান ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পূজা উদযাপন কমিটির দাবি, ২০২৫ সালে চট্টগ্রাম মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৯২টি, অথচ অনুদান দেওয়া হয়েছে ২৬৯ মণ্ডপে—যা ২০২৩ সালের তালিকার ভিত্তিতে। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে তালিকায় টাকা দিল চসিক, এই কারসাজিতে কারা? পূজা কমিটি বলল—২০২৫ সালের তালিকা অনুসরণ না করে সিটি করপোরেশন ২০২৩ সালের তালিকায় টাকা দিয়েছে, বঞ্চিত ১১।’ চট্টগ্রামের জে এম সেন হল থেকে শুরু করে ছোট ছোট পাড়ার পূজা মণ্ডপ—সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘অনুদানের তালিকা’। তবে এর মধ্যেই মেয়রের বার্তা স্পষ্ট, ‘এ শহর আমাদের সবার, তাই সবার দায়িত্ব একে বাসযোগ্য ও নিরাপদ রাখা।’  
Read Entire Article