চট্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দলটির তিন নেতা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নাছির নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার বিকেলে নগরীর ষোলশহর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত অন্য দুইজন ফারুক ও শহীদুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ–সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম প্রকাশ বার্মা সাইফুলের অনুসারীরা লাঠি ও কিরিচ নিয়ে ষোলশহর এলাকায় শোডাউন করে। এ সময় খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের লোকজন এসে তাদের বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় নাছিরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বার্মা সাইফুলের লোকজন শোডাউনের মতো করে ষোলশহর এলাকায় অবস্থান করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। ষোলশহর এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর বন্ধে আমরা সবসময় অভিযান চালাই। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করে।
- আরও পড়ুন:
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
বিজয় দিবসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, ষোলশহর থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। নাছির নামে একজন ভর্তি আছে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, বার্মা সাইফুলের ছেলেরা বিভিন্ন সময়ে দোকানদার ও লোকজনকে আটকে রেখে চাঁদাবাজি করে। আমরা এর প্রতিবাদ করে আসছি। ষোলশহর মহল্লা কমিটি গঠন করেছি এজন্য। তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের হাতে কিরিচ ছিল। তিনজনকে কুপিয়েছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে সাইফুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহত নাছির উদ্দিনের ফুফাত বোন পরিচয়ে একজন সাংবাদিকদের জানান, বিকেলে বাসা থেকে বাজার করার জন্য বের হন তিনি। এ সময় মসজিদের মাইকে ‘এলাকায় সন্ত্রাসীরা হামলা করছে’ শুনে দ্রুত ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় যান। সেখানে দেখেন তার মামাতো ভাই নাছির উদ্দিন আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশে পড়ে ছিলেন ফারুক। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
এমডিআইএইচ/এমআরএম/জেআইএম