চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ও লোহাগাড়ার ইউএনওসহ আটজনকে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। জানা যায়, চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করলে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বেশকিছু ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। গত বছর রিটকারীপক্ষ একটি সম্পূরক আবেদন করলে হাইকোর্ট গত ১৫ জানুয়ারি আদেশ বাস্তবায়ন করে সম্পূরক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। সেই প্রতিবেদন আদালতে দ
চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ও লোহাগাড়ার ইউএনওসহ আটজনকে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
জানা যায়, চট্টগ্রামের অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করলে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বেশকিছু ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
গত বছর রিটকারীপক্ষ একটি সম্পূরক আবেদন করলে হাইকোর্ট গত ১৫ জানুয়ারি আদেশ বাস্তবায়ন করে সম্পূরক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। সেই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করা এবং লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় পুনরায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি রিটকারীপক্ষ সম্পূরক আবেদন করে। এতে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট শুনানি শেষে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমানে ইট পোড়ানোর মৌসুমে অধিকাংশ অবৈধ ইটভাটায় মালিকরা ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে চট্টগ্রামে পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, কিন্তু ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ অনুসার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম
What's Your Reaction?