চবিতে মেইলিং সার্টিফিকেশন সেবা চালু, ৩ দিনে মিলবে সনদ

2 weeks ago 12

 

শিক্ষার্থীদের সনদ সংগ্রহ ও সংশোধনের প্রক্রিয়া সহজ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চালু হয়েছে ‘মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিস’। এ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নিজেদের সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী বলেন, আমরা মেইলিং সার্টিফিকেশন সার্ভিসেস নামে শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সেবা চালু করেছি। এই সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেটের জন্য জমাকৃত আবেদনের আপডেট জানতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী সনদের জন্য আবেদন করলে সেটি আমাদের কম্পিউটারে আসবে এবং তাকে মেইলে জানিয়ে দেওয়া হবে, তার আবেদন সাবমিট হয়েছে। আমরা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে যদি দেখি সবকিছু ঠিক আছে তবে তাকে জানানো হবে আপনার আবেদন সফলভাবে সাবমিট হয়েছে। কোনো সমস্যা থাকলে আবেদনকারীকে সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হবে কোথায় ভুল আছে। পরে তা সংশোধন করে শিক্ষার্থীদের সনদ নেওয়ার জন্য নিদিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি ছাড়াই সনদ নিতে পারবেন।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, আমাদের সনদ লেখক মাত্র দুজন। যদি আরও একজন লেখক নিয়োগ দেওয়া যায় তবে কাজগুলো আরও সুন্দর হবে। এখনো আমাদের পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা পুরোপুরি সফলভাবে এই সেবা চালু করতে পারবো। এই সেবায় শিক্ষার্থীরা ৩ দিনের মধ্যে জরুরিভাবে সনদ তুলে নিতে পারবেন। এছাড়া নিয়মিতভাবে সনদ তুলে নিতে তাদের মাত্র ৭ দিন সময় লাগবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই সিস্টেম চালু করেছি। এতে দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। সনদ প্রস্তুত হলে তারা জানতে পারবেন এবং নিজেদের সময়মতো এসে সনদ তুলে নিতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ কর্মকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট তুলতে অনেক ভোগান্তি পোহায়। আমি তাদের এমন কোনো সিস্টেম তৈরি করে দিতে পারবো কি না, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সার্টিফিকেট তৈরির অগ্রগতি এবং আবেদনপত্রে ভুল থাকলে সেটা জানতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি তাদের মেইল ব্যবহার করে একটি অটোমেটিক আপডেট জানানোর সিস্টেম তৈরি করে দিয়েছি। আশা করি এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার অগ্রগতি জানার জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে যাওয়ার ভোগান্তি কমবে। আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে কাজটি করে আনন্দ বোধ করছি।

আহমেদ জুনাইদ/জেডএইচ/জেআইএম

Read Entire Article