চবিতে শতভাগ আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ভবনে তালা

3 weeks ago 10

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আবাসন ভাতা প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এখনো বিক্ষোভ চলমান এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলছে। 

রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি ও আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা। 

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ‘আমাদের সিট দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘১০০ টাকার ভিক্ষুক, তারা নাকি শিক্ষক’, ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘এক দুই তিন চার, আবাসন আমার অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনিয়া মিথিলা বলেন, প্রথম বর্ষ থেকেই ছাত্রীরা সিট পাচ্ছে না। আর যাদের সিটের ব্যবস্থা হয়, তারাও দুর্বিষহ অবস্থায় হলে থাকতে হচ্ছে। মেয়েদের ডাবলিং করতে হয়, যা অনেক কষ্টকর। আবাসন সংকট মেয়েদের পড়াশোনার পরিবেশকেও বিঘ্নিত করছে। এ অবস্থায় আমরা প্রশাসনের কাছে হলে আবাসন ব্যবস্থা নয়তো ভাতা প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, প্রশাসন লাখ লাখ টাকা খরচ করে ড. ইউনূসকে ‘ডিলিট’ উপাধি দিতে পারে, অথচ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণে কোনো উদ্যোগ নিতে পারে না। শিক্ষার্থীদের সিট দিতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবাসন দিতে না পারলেও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। অথচ চবিতে আমরা কেবল আশ্বাসই পেয়েছি, কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেই। 

রিয়াদ আরও বলেন, আমাদের প্রশাসন আসলে শিক্ষার্থীবান্ধব নয়, বরং কটেজবান্ধব। আমরা নাটকের মাধ্যমে, লিখিতভাবে, নানা উপায়ে এই বিষয়টি জানালেও কোনো কার্যকর সাড়া আসেনি। এবার আমরা আবাসন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দাবির কারণে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রেখেছে। আমরা লিখিতভাবে তাদের দাবিগুলো চেয়েছি। শিক্ষার্থী এখনো বিক্ষোভ করছে, আমরা লিখিত ভাবে দাবিগুলো পেলে সমাধানের চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক একটি দাবি নিয়ে এখানে জড়ো হয়েছে। আমরা চাইলেই তো এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে পারব না। এর জন্য প্রয়োজন সময় ও বিরাট অঙ্কের অর্থ। 

তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের থেকে নিজেদের জাহির করার জন্য এরকম পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ সামনে  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। তাদের সঙ্গে আমরা প্রথমদিকে কথা বলতে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তাদের জায়গায় অটল।

Read Entire Article