চাঁদা দাবির অভিযোগে জামায়াত কর্মী বহিষ্কার

5 hours ago 5

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাসে চাঁদা দাবির অভিযোগে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জাকির হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ ন ম আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে গঠনতন্ত্রের ৬২নং ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী জাকির হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত জাকির হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামের জহির আহমদের ছেলে। তিনি ফেনী পৌর জামায়াতের নিষ্ক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে সংগঠন সূত্রে জানা যায়।

জানা গেছে, রোববার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে চাঁদা দাবির ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে পরে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডে শোনা যায়, কত টাকা দিতে হবে জাকির হোসেনের কাছে জানতে চান মাহমুদুল হাসান। জবাবে জাকির বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে এবং সমীর নামে একজনের বিষয় আছে বলে উল্লেখ করেন। এ সময় মাহমুদুল হাসান মামলার খরচ আগে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এবং আরও লাগবে কি-না জিজ্ঞেস করেন। এ ছাড়া এর আগে ওসির জন্য দেওয়া এক লাখ দিয়েছেন কি-না জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে জাকির হোসেন বিবেচনা করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন এবং মামলা ডিসক্লোজ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হান্নান কালবেলাকে জানান, বহিষ্কৃত জাকির হোসেন মিয়া জামায়াতের শহর শাখার একজন নিষ্ক্রিয় কর্মী ছিলেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সে জন্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সংগঠনের ৬২নং ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ওসি তদন্ত ইকবাল হোসেন কালবেলাকে জানান, আমরা ফাঁস হওয়া অডিওটি শুনে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। টাকা দিয়ে কোনো অপরাধী তার অপরাধ থেকে বাঁচতে পারবে না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি, এলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article