চাঁদার দাবিতে দলিল লেখকদের লাঞ্ছিতের অভিযোগ

3 months ago 15

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে দলিল লেখককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আশাশুনি থানায় দলিল লেখক কৃষ্ণপদ মণ্ডল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১২ মে) বিকেলে আশাশুনি গ্রামের নাজমুল হোসেন আশাশুনি কৃষি ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দলিল লেখক কৃষ্ণপদের সেরেস্তায় গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে যাওয়ার সময় তার পথরোধ করে নাজমুল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তাকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন নাজমুল। 

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, একইদিন নাজমুল আরেক দলিল লেখক পরিমল কুমার সানার সেরেস্তায় গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ তার চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে একই ব্যক্তি দলিল লেখক সুশেন চন্দ্র মল্লিকের দলিল লেখার সেরেস্তায় গিয়ে একই আচরণ করেন এবং চাঁদা না দিলে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসেন। 

স্থানীয় দলিল লেখকরা জানান, শুধু নাজমুল একা নয়, আশাশুনিতে একটা চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাজমুলের মতো আরও কয়েকজন নিয়মিত আশাশুনি বাজারে সাবরেজিস্ট্রার অফিস, দলিল লেখকদের ব্যক্তিগত দলিল লেখার সেরেস্তাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। 

তারা জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলিলের দাতা-গ্রহীতাসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক টাকা আদায় করা, টাকা না দিলে তাদের লাঞ্ছিত করা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে অনেকেই ভয়ে এখন আশাশুনি সদরে আসতে চান না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুল আরেফিন বলেন, কৃষ্ণপদ নামের একজন দলিল লেখকসহ কয়েকজনকে অকথ্য গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পেয়েছি। কৃষ্ণপদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া দলিল লেখক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশকিছু নাম পেয়েছি যারা অতিসম্প্রতি চাঁদাবাজি করছে। দ্রুতই আমরা এসব চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Read Entire Article