চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংস্থাটি থেকে চাকরিচ্যুতরা। রাতে তাদের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম।
ওই বক্তব্যে বলা হয়, বিগত সময়ে বিমানের ট্রাফিক বিভাগ, নিরাপত্তা বিভাগ ও কার্গো বিভাগসহ বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিটে কর্মে নিয়োজিত কিছু অস্থায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, মালামাল চুরি, বিনা অজুহাতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি, ফৌজদারি মামলায় শাস্তি প্রাপ্তি, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার সুনাম রক্ষার স্বার্থে বিধি অনুসারে অভিযুক্ত কর্মচারীদের অস্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে গতকাল যেসব কর্মচারী চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়ার দাবি নিয়ে বলাকার সামনে অবস্থান করেছিলেন তাদের অধিকাংশই এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানি, কার্গোর মালামাল চুরি অথবা দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি অথবা মানবপাচারকারী অথবা স্বর্ণ চোরাচালানের ফৌজদার অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে চাকরিচ্যুত করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ বিগত সময়ে বৈষম্যের শিকার কর্মচারীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির কাছে আলোচ্য চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের দরখাস্ত পর্যালোচনা করার জন্য দাখিল করা হয়েছে। কমিটি এর আগে বেশ কিছু আবেদন নিষ্পত্তি করেছে এবং যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট আবেদনসমূহ বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করবে।
বোসরা ইসলাম আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রী হয়রানি, কার্গোর মালামাল চুরি, মানবপাচার এবং চোরাচালানোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করে আলোচ্য চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা বিমানের উপর্যুক্ত নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের দাখিলকৃত দরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করবেন। বলাকা ভবনসহ বিমানের যে কোনো স্থাপনা ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কোনো প্রকার বাধা-বিঘ্ন প্রদান না করার জন্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে, যার ব্যত্যয় ঘটলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
এমএমএ/এমআরএম/জিকেএস