বিগত সরকারের আমলে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহালের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। তারা বলছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে পুনর্বহালের প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তারা কাফনের কাপড় পরে আত্মাহুতি দেবেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তারা এ আলটিমেটাম দেন। এদিন বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা।
পরে তাদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনার জন্য যান। সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুর্নবহালের প্রজ্ঞাপন জারি না করলে ৯ ফেব্রুয়ারি মাজার গেটের সামনে কাফনের কাপড় পরে তারা আত্মাহুতি দেবেন।
তারা বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সকে পাঁচ মাস সময় দেওয়া হয়েছিল, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিকেল ৪টার পর অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে তারা সেখান থেকে চলে যান।
এর আগে অবস্থান চলাকালে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসআই পদমর্যাদার একজন পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের আলোচিত বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রোষানলে পরে অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন তো তারা নেই। তাহলে আমাদের চাকরি কেন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
অন্য একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা গত ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। শুরুতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরি। পরে সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের কাগজপত্র দেখে বলেন আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং বলেন আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তিনি (উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন) তখন বলেছেন আন্দোলনরতদের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের চাকরি ফিরিয়ে দেবেন। উনার আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। কিন্তু মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি। তাই আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। চাকরি ফিরে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করবো না।
এফএইচ/এমকেআর