চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন না জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের আন্দোলনকে বেগবান করতে ভূমিকা রাখা তিন সমন্বয়ক। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সমন্বয়হীনতা ও ডাকসু-জাকসুতে ভরাডুবির পর কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না পাওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে জানা গেছে।
জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলন বেগবান করতে ভূমিকা রেখেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও আল মাসনূন। চবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন তারা। তিনজনের মধ্যে দুজনই গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা। রাফি বাগছাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মাসনূন চবি শাখার সদস্যসচিব। এছাড়া রাসেল আহমেদ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক।
নির্বাচন না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাসেল আহমেদ বলেন, আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। লালমনিরহাট-২ (সংসদীয় আসন ১৭) এলাকায় নিয়মিত কর্মশালা, গণসংযোগ ও উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমার মূল লক্ষ্য এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানসিক বিকাশে কাজ করা। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ ও টেকসই পরিবর্তন আনতে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই বৃহত্তর জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই আমি এগিয়ে চলেছি। তাই আমি চাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। আমার মনোযোগ এখন দেশের জন্য বড় পরিসরে কাজের দিকে।
খান তালাত রাফি মাহমুদ জানান, ক্যাম্পাসে আমার সিনিয়র আরও অনেকগুলো সেশন রয়েছে। আমার কাছের অনেক সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধুরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। উনাদের প্রতি আমার সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই। কোনো রাজনৈতিক চাপের প্রশ্নই আসে না। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং আমার সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী নেওয়া সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে আল মাসনূন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংগঠন থেকেও কোনো প্যানেল দেওয়া হচ্ছে না।
সোহেল রানা/ এমএন/এমএস