চাকসুতে সমকামিতা সমর্থক ও মাদকাসক্তদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সমকামিতা সমর্থক ও মাদকাসক্তদের প্রার্থিতা বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছে চবিয়ান দ্বীনি পরিবার।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন বরাবর এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা।
স্মারকলিপিতে উল্লিখিত ৪টি দাবি হলো, চাকসু এবং হল সংসদে দাঁড়ানোর আগে প্রার্থীর ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে, এলজিবিটিকিউ সমর্থন করে এমন কোনো সংগঠনের সদস্যকে প্রার্থিতা করতে দেওয়া যাবে না, পাহাড়িদের আদিবাসী হিসেবে সম্বোধন করে দেশের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলা কোনো সংগঠনের সদস্যকে প্রার্থিতা করতে দেওয়া যাবে না এবং চাকসু ও হল সংসদে ধর্মবিষয়ক সম্পাদক যুক্ত করতে হবে।
চবিয়ান দ্বীনি পরিবারের মুখপাত্র ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু সংগঠন এলজিবিটিকিউ তথা সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ ধরনের মূল্যবোধ বিরোধী কোনো সংগঠনের সদস্যকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা করতে দেওয়া যাবে না। কোনো মাদকাসক্তকেও প্রার্থীতা করতে দেওয়া যাবে না। চাকসু ও হল সংসদে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদটি যুক্ত করতে হবে।’
চবিয়ান দ্বীনি পরিবারের জিম্মাদার এবং আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। বাঙালি-পাহাড়ি সবার ন্যায্য অধিকারে আমরা বিশ্বাসী। পাহাড়ি কোনো জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক বা নিপীড়নমূলক আচরণে আমরা বিশ্বাসী নয়। কিন্তু, একদল অ্যাক্টিভিস্ট পাহাড়ি অবাঙালি জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে সম্বোধন করে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো সংগঠনের সদস্যকে চাকসুতে প্রার্থীতা করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার নির্দেশনা দেয়। ২০১৯ সালের এক প্রজ্ঞাপনেও ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। প্রার্থিতা করতে হলে মূল্যবোধ ও দেশের অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।