চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট

1 day ago 9
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ ৩৫ বছর পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩ প্যানেল; ২৩২ পদে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে। এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এদিন বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন বিতর্কমুক্ত করতে অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগের সভাপতিরা হবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে ছবি। শহরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেনের সময়সূচি বাড়ানো হয়েছে। এদিন ১১ বার করে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করবে শাটল ট্রেন। এ ছাড়া চলাচল করবে ১৫টি বাস। পাঁচ ভবনে ১৫ ভোটকেন্দ্র : কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট পাঁচটি অনুষদের পাঁচটি ভবনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব ভবনে ১৫টি কেন্দ্র থাকবে। প্রকৌশল অনুষদ ভবনে সোহরাওয়ার্দী হলের ৪ হাজার ৩৬ জন ভোট দেবেন। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নতুন ভবনে ভোট দেবেন ৫ হাজার ২৬৩ শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ভোট দেবেন ৪ হাজার ৫৩৮ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ভোট দেবেন ৬ হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থী। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ভোট দেবেন মোট ৭ হাজার ৭৩ শিক্ষার্থী। ভোটকক্ষ ৬০, বুথ ৬৮৯টি : পাঁচটি ভবনের কক্ষের আয়তন অনুযায়ী ৬০টি ভোটকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এসব ভোটকক্ষের আয়তনভেদে ৬৮৯টি বুথ রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে ৪০০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রের ভেতরে থাকবে ৯০টি সিসিটিভি, এলইডি স্ক্রিন থাকবে ২০টি। নির্বাচনের সময় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষ ছাড়া সব জায়গায় ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের দেখাতে ১৫টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ২০টি এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫৯ বছরে মোট ছয়বার নির্বাচন হয়েছে চাকসুর—১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১ ও ১৯৯০ সালে। চাকসুর প্রথম নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হন যথাক্রমে মো. ইব্রাহিম ও মো. আবদুর রব।   
Read Entire Article