চার বছর পর কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের তালা খুলে দিলেন শিক্ষার্থীরা

1 month ago 23

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাব খুলে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা প্রেস ক্লাবের মূল ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে জেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও সেখানে উপস্থিত হন।

পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কনফারেন্স রুমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রেস ক্লাব ভাঙচুরের নিন্দা জানানো হয়।

তারা বলেন, ‘আমরা বৈষম্য ভাঙতে আন্দোলন করেছি। প্রেস ক্লাবে বৈষম্য থাকুক, সেটা শিক্ষার্থীরা চায় না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘চব্বিশের বিপ্লব’র অন্যতম সংগঠক সায়েদ সুমন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এসে প্রেস ক্লাব খুলে দিয়ে গেলো। আজ থেকে দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবে বসে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত জাহান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে তালা ঝুলছে। এই ক্লাব সাংবাদিকদের জায়গা। এখানে পেশাদার সাংবাদিকরা নিয়মিত বসবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

২০২০ সালে কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাব সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। ক্লাবের কার্যকরী কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় এমনটি করা হয়।

চার বছর পর কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের তালা খুলে দিলেন শিক্ষার্থীরা

মামলার বিষয় আদালত দেখবেন বলে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থী রাকিব মাহমুদ। তবে আইনি মীমাংসা হওয়ার আগে এটি খোলা রাখা উচিত বলেই মনে করেন তিনি।

কনফারেন্স রুমে উপস্থিত ছিলেন জিহাদ, আরিফ, হৃদয়, নুসরাত জাহান, মোছা. রাবেয়া, তামান্না, স্বর্ণা, আফসানা, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. রুবেল মিয়াসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী।

শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রেস ক্লাবে ছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্তের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আল আমিন, চ্যানেল আই ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি এসকে রাসেল, এখন টিভি ও ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি মশিউর কায়েস, হাওর টাইমসের সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, বিজয় টিভি ও দৈনিক কালবেলার মো. শরিফ উদ্দিন (জীবন), দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তুষার ও জনবানীর প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম।

শিক্ষার্থীদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য মো. আল আমিনকে দায়িত্ব দেন শিক্ষার্থীরা।

এসকে রাসেল/এফএ/এমএস

Read Entire Article