রাজধানীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১০ আগস্ট) আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জহিরুল (২২), আলমগীর (৩২), মেহেদী (২১) ও ইয়ামিন (১৯)।
মিরপুর মডেল থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালক মো. সজিবুল ইসলাম রাসেল (২২)। তিনি গত ৩ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে দুই ব্যক্তি তার রিকশা ভাড়া নেন। পরে তারা রিকশা নিয়ে প্রথমে শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে যায়, সেখান থেকে মোহাম্মদপুরের শ্যামলীতে ১০ নম্বর কমার্শিয়াল প্লট, ২ নম্বর খিলজি রোডে পৌঁছায়। সেখানে আরও দুইজন তাদের সঙ্গে রিকশায় ওঠে। পরে তারা কৌশলে একটি বেকারি থেকে রসমালাই নিয়ে চালককে খাওয়ায়, যেখানে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিল। সেই রসমালাই খেয়ে রাসেল অচেতন হয়ে পড়েন। পরে চোর চক্রের সদস্যরা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, ৬ আগস্ট রাত ৮ টার দিকে রাসেলের জ্ঞান ফিরে, এরপর তিনি জানতে পারেন একজন অজ্ঞাত রিকশাচালক তাকে মিরপুর-১০ এ তার বাসায় পৌঁছে দেয়। পরে রাসেলের অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটির পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল আদাবর থানার সহায়তায় মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে জহিরুল, আলমগীর, মেহেদী ও ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের থেকে চুরি করা সেই অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
কেআর/এনএইচআর/জিকেএস