চাহিদার তুলনায় এক লাখের বেশি কোরবানির পশু

3 months ago 48

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীতে চাহিদার তুলনায় এক লাখের বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে পশু কেনাবেচা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খামারি, ক্রেতা ও ব্যাপারীরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় এবার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮টি, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫টি, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১টি, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮টি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি।

চাহিদার তুলনায় এক লাখের বেশি কোরবানির পশু

এবার ঈদে জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯টি। চাহিদার তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু রয়েছে ৭৫ হাজার ৮৩৩টি, মহিষ ৩৩টি, ছাগল এক লাখ ৮৬ হাজার ১৫১টি ও ভেড়া রয়েছে ১৪ হাজার ১৮৪টি।

জেলায় খামারি রয়েছেন ৩০ হাজার ৯৭২ জন। এরমধ্যে সদরে পাঁচ হাজার ৮৫০জন, সৈয়দপুরে চার হাজার ২৭৫জন, ডোমারে চার হাজার ৭০২ জন, ডিমলায় চার হাজার ৮৮৯ জন, জলঢাকায় ছয় হাজার ১২৩ জন ও কিশোরগঞ্জে পাঁচ হাজার ১৩৩ জন।

পলাশবাড়ী এলাকার রায়হান ইসলাম নামের এক খামারি বলেন, খামারে শুধু ছাগল পালন করে থাকি এবার কোরবানিতে বেশ কয়েকটি ছাগল বিক্রি করবো। এখন পর্যন্ত দাম ভালো রয়েছে। এ দাম থাকলে লাভবান হবো।

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিবছর পারিবারিকভাবে দুটি গরু পালন করি। এবারও এক বছর আগে এক লাখ টাকায় দুটি গরু কিনে পালন করেছি। আগামী সপ্তাহে গরু দুটি হাটে তুলব। গরু ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে দুই লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছেন। তবে আশা করছি আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হবে গরু দুটি।

আরেক গরুর খামারি ডোমার উপজেলার সোনারায়ের জামিরবাড়ী গ্রামের মো. জামিয়ার রহমান বলেন, আমার ৫১টি গরু আছে যার প্রায় সবকয়টি বিক্রি উপযোগী। গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি এতে আমাদের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আশা করি এবার কোরবানির পশুর হাটে ভালো দাম পাব।

জলঢাকার সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, কুরবানির জন্য খামারে ১৭টি গাভি, ২৫টি ছাগল ও ২৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। এবার দাম ভালো পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।

চট্টগ্রাম থেকে গরু কিনতে আসা শরিফ নামের এক ব্যাপারী বলেন, কয়েকদিন ধরে গরু কিনে ট্রাক লোড করে চিটাগাং পাঠাচ্ছি। এবার গরুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। এরপরও কিনছি। আমরা যারা বাহিরে থেকে নীলফামারীতে ব্যবসার জন্য আসি সেই হিসেবে বাজারগুলোতে সুযোগ-সুবিধা নেই। গত শুক্রবার বসুনিয়া হাটে আমার এক পরিচিতি ব্যাপারীর ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল।

চাহিদার তুলনায় এক লাখের বেশি কোরবানির পশু

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবীদ ডা. সিরাজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এবার জেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজারে বেশি পশু খামারিরা লালন পালন করছেন। এ বছর চাহিদা এক লাখ ৪৩ হাজারে একটু বেশি। সে হিসেবে এক লাখ ৩৩ হাজারে উপরে প্রাণী দেশের অন্যত্র যাবে। খামারিরা এখন কোনো অসদুপায় অবলম্বন করে গরু মোটাতাজা করেন না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি। আমরা পশুদের সময়মতো ভিটামিন ও ভ্যাকসিন দেই। এছাড়া খামারিদের ওপর সবসময় নজরদারি থাকে।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুরহাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে পশু পরিচর্যা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা।

ইব্রাহিম সুজন/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article