এস ইসলাম, লন্ডন থেকে
গাজা থেকে ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রথম দলটি বিশেষ চিকিৎসার জন্য গতকাল যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা অর্থাৎ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের আওতায় এসব শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
সংবাদসংস্থা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য যুক্তরাজ্যে দুই বছরের জন্য চিকিৎসা, আবাসন এবং পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার সোমবার সংসদের লেবার পার্টিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৩০-৫০ জন শিশু চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি, দুটি মারাত্মক অসুস্থ শিশু এবং তাদের পরিবার স্কটল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য পৌঁছেছে।
কুপার মিরর পত্রিকাকে বলেন, তাদের গাজা থেকে নিরাপদে বের করে আনতে যথেষ্ট কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সাধন করতে হয়েছে। তবে আমরা সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং নিশ্চিত করতে চাই যে আহত পরিবারগুলোকে সহায়তা করা এবং শিক্ষার্থীদের এই শরৎকালীন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করানো সম্ভব হবে।
স্কটল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিল গ্রে বলেন, স্কটল্যান্ড সরকার প্রাথমিকভাবে ২০ জন ফিলিস্তিনি শিশুর চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যারা আগামী সপ্তাহগুলোতে স্কটল্যান্ডে পৌঁছাবে। এটি গাজার বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষুদ্র একটি পদক্ষেপ।
তিনি আরও জানান, স্কটল্যান্ড সরকার স্বাস্থ্য বোর্ড এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যেন শিশু ও তাদের পরিবারের সঠিক চিকিৎসা এবং আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্থানান্তর করার প্রচেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি, ‘প্রজেক্ট পিউর হোপ’ নামের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে কিছু কিছু শিশুর চিকিৎসা ব্যক্তিগতভাবে করানোর জন্যও যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ২২ আগস্ট গাজা শহরে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪২ জন মানুষ খাদ্য ঘাটতি ও অপুষ্টির কারণে মারা গেছে।
এমআরএম/জেআইএম