নিজের চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, তিনি শুধু টাকা বাঁচানোর জন্য নয়, বরং দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কারণেই এখানে সেবা নিয়েছেন। যা বিদেশমুখী মানসিকতার বিরুদ্ধে একপ্রকার প্রতিবাদ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে জামায়াতের আয়োজনে মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইব্রাহীমপুর শাখায় এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘যারা সামান্য অসুস্থতাতেই বিদেশে চলে যান, আমি তাদের মানসিকতার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘাটতি চিনে সেগুলো পূরণের চেষ্টা করতে হবে। আমার এই চিকিৎসা নেওয়া ছিল, যারা অল্প কিছুতেই বিদেশে দৌড় দেন, তাদের সেই উদ্যোগের প্রতিবাদ। আপনি দেশ বাঁচাবেন, জাতিকে সোনালি স্বপ্ন দেখাবেন, অথচ একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে দৌড়াবেন। বন্ধু, আমি এটা সমর্থন করি না। জটিল ও কঠিন চিকিৎসা নেবেন। তাহলে জানবেন সমস্যা কোথায়, সেভাবে ব্যবস্থাও নিতে পারবেন। আমিও কিছু পেয়েছি, এগুলো তাদের বলেও এসেছি। এগুলো আপনাদের বলবো না। আপনারা এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না। যারা পারবে, তাদের বলেছি চলমান স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি গোছানোর জন্য।’
শফিকুর রহমান মনে করেন, সরকারি স্বাস্থ্যসেবা যদি জনগণের জন্য যথেষ্ট হতো, তাহলে মেডিকেল ক্যাম্পে একজনও আসতেন না। তারা এখানে এসে প্রমাণ করেছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। দেশের মানুষ নিজের দেশে উন্নত সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
নিজের চিকিৎসা এ দেশে সফলভাবে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি হাসপাতালের সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জামায়াতের ভবিষ্যৎ নেতাদের উদ্দেশে আমির বলেন, ‘আমাদের কেউ নির্বাচিত হলে স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট বা ট্যাক্সবিহীন গাড়ি গ্রহণ করবে না। জনসেবার জন্য দায়িত্ব নেবো, কিন্তু ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগে লিপ্ত হবো না।’
শফিকুর রহমান দাবি করেন, জামায়াতের দুজন মন্ত্রী এর আগেও জনসেবায় অনন্য নজির স্থাপন করেছেন, যা দলীয় নীতির প্রতিফলন। তিনি বলেন, আল্লাহ সব দেখেন, তাকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। যারা এই বিশ্বাসে চলেন, তারা জনগণের সম্পদে হাত দিতে পারেন না।
এসইউজে/একিউএফ/এমএস