গত ২২ নভেম্বর বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় চ্যালেঞ্জ কাপে এগিয়ে থেকে হেরে যাওয়ার পর ভেন্যু নিয়ে অভিযোগ করেছিল মোহামেডান। ম্যাচের ৬১ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের দর্শকরা গ্যালারি থেকে মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করলে খেলা বন্ধ ছিল ২০ মিনিটের মতো। ওই সময় পর্যন্ত মোহামেডান ১-০ গোলে এগিয়েছিল। খেলা শুরুর পর তিনটি গোল করে কিংস ৩-১ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ঘরোয়া ফুটবলের নতুন এই টুর্নামেন্টে।
ম্যাচের পরই মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ অভিযোগ করেছিলেন, স্মোক ফ্লেয়ার নিক্ষেপের কারণে তার দলের খেলার ছন্দপতন হয়। দর্শকদের ওই উচ্ছৃঙ্খলতার জন্যই তারা হেরে গেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পরে মোহামেডান অফিসিয়ালি বাফুফেকে চিঠি দিয়ে ওই ম্যাচের মাঝে উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে কিংসের দর্শকদের বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করার বিষয়টি অবহিত করে।
ক্লাবের ডাইরেক্টর ইন-চার্জ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশীদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে মোহামেডান আরো কিছু অভিযোগের কথা উল্লেখ করে ফিফা বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছিল বাফুফেকে। তা নাহলে নিরপত্তাহীনতার কারণে কিংস অ্যারেনায় মোহামেডান কোনো ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্তের কথাও বলেছিল।
১১ দিন আগে বাফুফেকে চিঠি দিলেও কোনো জবাব পায়নি মোহামেডান। মঙ্গলবার ওই মাঠেই মোহামেডানের ফেডারেশন কাপের ম্যাচ আছে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। কি করবে মোহামেডান? ক্লাবের পরিচালক ও ফুটবল কমিটির সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স বলছিলেন, ‘আমরা ওই মাঠে কিংসের বিপক্ষে খেলবো না। অন্য খেলায় সমস্যা নেই।’
তাহলে চিঠিতে কেন লেখা হয়েছিল মোহামেডান কিংসের মাঠে কোনো ম্যাচই খেলবে না? এ প্রশ্নের উত্তর নেই প্রিন্সের কাছে।
একই কথা বলেছেন ফুটবল দলের নেতা মোঃ মঞ্জুরুল করিম, ‘আমরা তো ওই মাঠে কিংসের বিপক্ষে খেলবো না। মঙ্গলবার খেলা তো রহমতগঞ্জের বিপক্ষে।’
চিঠিতে কোনো ম্যাচই না খেলার কথা বলা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন,'আমাদের (তিনি বাফুফের সদস্য) বুধবার সভা আছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা যদি মঙ্গলবার না খেলি তাহলে বড় অংকের জরিমানা হতে পারে। ফিফাও শাস্তি দিতে পারে।'
মোহামেডানের চিঠির জবাব দেয়নি বাফুফে। সেটাকে কিভাবে দেখছেন? ‘আমাদের চিঠি বাফুফে হয়তো আমলে নেয়নি। আমরা ক্লাবের সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তিনি বাইলজ দেখতে চেয়েছিলেন। বাইলজ দেখে তিনি খেলতে বলেছেন, তাই মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনায় আমরা খেলবো।’
আরআই/আইএইচএস/