চট্টগ্রাম আদালত থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ৮ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আসামিরা হলেন- পার্থ চক্রবর্তী, অপূর্ব শীল, উজ্জল দাস প্রকাশ জনি দাস, অপু চন্দ্র সাহা, নিলয় দাশ, ধ্রুব দাশ, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরু।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। এছাড়া গতকাল শনিবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা এবং পাশাপাশি আলিফের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেছেন নগরের কোতোয়ালি থানায়।