বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। সংগঠন দুটি অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক যুক্ত বিবৃতিতে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস পাল এই দাবি জানান। বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গোয়েন্দা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সারা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বসম্মত আট দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। তার এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং গত তিপ্পান্ন বছর ধরে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসন করে বাংলাদেশকে ‘এক পরিবার’-এ পরিণত করার জন্যই আন্দোলন- যা প্রধান উপদেষ্টা বার বার উচ্চারণ করেছেন।
তারা আরও বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আরও সচেতন করেছে অধিকারবোধে। তাদের প্রত্যাশা, এই আন্দোলন সরকারকে ইতিবাচক পথে পা বাড়াতে সহায়তা করবে, রাজনৈতিক দলগুলোতে সার্বজনীন চিন্তার বিকাশ ঘটাবে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে সাধু-সন্তদের আন্দোলন সার্বজনীন রাষ্ট্র গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন। দমনমূলক বা নেতিবাচক পদক্ষেপ নবচেতনার বাংলাদেশ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ছড়াবে, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সর্বোপরি ভুল বার্তা যাবে। নেতারা এই ‘ভুল’ পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।