চিফ প্রসিকিউটরকে নিয়ে নুরের বক্তব্য প্রত্যাহার, সহযোগিতার আশ্বাস

6 days ago 10

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করে গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ট্রাইবুনালের সামনে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্ণ সহযোগিতা আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, গত ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া বক্তব্যে তথ্যের বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি।

চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে নিয়ে গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকাল ৫টায় গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং তার একদল সহযোগী ও বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক এবং মানহানিকর স্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধার মুখে নুরুল হক নুর তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গেটে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য এবং উসকানিমূলক কিছু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার এ মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। নুরুল হক নুরের এই বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এ বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তার এই হঠকারী কার্যক্রম জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এই বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এফএইচ/এসআইটি/এএসএম

Read Entire Article