চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ক্রিকেটার এবাদতের বাবা
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা ও সাবেক বিজিবি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী স্ত্রী, ৬ ছেলেমেয়ে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে হলেও বর্তমানে তিনি একই ইউনিয়নের রুকনপুর গ্রামে পরিবারসহ বসবাস করছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি এর আগেও একাধিকবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, এমনকি সিএমএইচেও চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল এবং শারীরিক অবস্থাও কিছুটা উন্নত হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলে এবাদত হোসেন তাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হন। পথেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এবাদতের গ্রামের বাড়ি রুকনপুরে গিয়ে দেখা গেছে, প্রিয়জনকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেছেন আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন এবাদত ও তার পরিবার।
এ সময় এবাদত হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগলেও চিকিৎসার কারণে তিনি কিছুটা সুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি নিজেই তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পথেই বাবা চলে যাবেন, এটা কল্পনাও করিনি। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।’
এদিকে নিহতের ভাতিজা ইমন চৌধুরী বলেন, ‘আমার চাচা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে খুব আদর করতেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন চাচাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।’