যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
বিডাপ্রধান চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে একটি ‘খোলা চিঠি’ লিখে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন চীনা নির্মাতাদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হয়ে উঠতে প্রস্তুত, যারা তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তর বা বৈচিত্র্য আনতে আগ্রহী।
রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র এ তথ্য জানায়।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীনা নির্মাতাদের জন্য শুল্ক ও শুল্কহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়, উল্লেখ করেছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
‘এই প্রেক্ষাপটে, আমরা চীনের বিনিয়োগকারী বন্ধুদের প্রতি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিধান, ইলেকট্রনিক্স, সৌরশক্তি এবং অটোমোটিভ শিল্পে সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং সুবিধার মাধ্যমে একটি সহায়ক বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পূর্বে এইচএসবিসির সিনিয়র ব্যাংকার হিসেবে কর্মরত আশিক মাহমুদ বিন চৌধুরী উল্লেখ করেন, গত এক মাসে তিনি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির ২০০টিরও বেশি সিইওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশ অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হবে।
তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে চীনা নির্মাতাদের মধ্যে অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করছি যারা তাদের ঝুঁকি এবং উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বৈচিত্র্যময় করতে চাচ্ছেন।’
২০২২ সালে চীন বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম উৎসে পরিণত হয় এবং এই প্রবণতা নতুন ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগ ব্যাংকার জীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চৌধুরী বলেন, ‘গত এক দশকে চীনা নির্মাতাদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।’
বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘পরিকল্পিত সমাধান’ নিয়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান। ‘বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে এটি আমার অঙ্গীকার,’ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম